মোঃ মহাসিন মিয়া-৮৩৬(খাগড়াছড়ি)
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এমনকি করোনার কারনে ফের পিছিয়েছে এপ্রিলে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষাও। ফলে দেশের হাজার হাজার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী আর কখনো নিয়মিত পড়াশোনায় ফিরতে পারবে কি না তা নিয়ে শিক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকদের মনে জেগেছে শঙ্কা।
এমন শঙ্কায় পৃথিবীজুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় এতোটা বিঘ্ন ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাবিদ’রা। শিক্ষার্থীরা যেনো পড়াশোনায় পিছিয়ে না থাকে সে জন্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইন ভিত্তিক রুটিন অনুসারে নিয়মিত ক্লাস আব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই শঙ্কা প্রভাব ফেলেছে পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার উপরেও।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় শিক্ষার মান বর্তমান (৪৪.০৭%)। পাহাড়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছিলেন সরকার। চলতি বছরে হঠাৎ করোনার থাবায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা যেন পিছিয়ে পড়েছে। গত ৬ আগষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুজেন্দ্র মল্লিকা মডার্ণ কলেজের অধ্যক্ষ জনাব, সাধন ত্রিপুরা দৈনিক গণমুক্তিকে বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কলেজ ক্যাম্পাস ময়লা আর্বোজনা দিয়ে ডেকে গেছে, শিক্ষার্থীরা হতাশায় সময় পার করছে কবে ফিরবে তাঁদের প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাসে ।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা চেয়ে আছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার উপর। দীঘিনালার ১ নং কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত প্রধান শিক্ষক জনাব, একে, এম, বদিউজ্জামান (জীবন) বলেন, দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ। ছোট ছোট বাচ্চারা ফোন করে জানতে চাচ্ছে, স্যার কখন আমাদের স্কুল খুলবেন, আমরা কি আর আমাদের স্কুলে পড়তে পারবোনা।
অনেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগনও আমাদের প্রতিনিয়ত ফোন করে জানতে চাচ্ছে কবে নাগাত স্কুল খোলা হবে, বাচ্চারা পাগল হয়ে গেছে কবে তাঁরা তাঁদের স্কুলে ফিরবে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মনে আতংক বিরাজ করেছে, কি হবে আমাদের লেখাপড়ার একটি বছর বছর পেছানোর চিন্তায় হতাশায় আছেন অনেকে। সব মিলিয়ে অনিশ্চিত লেখাপড়া নিয়ে চিন্তিত পাহাড়ের হাজারো শিক্ষার্থীরা।